সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০৯:৩১

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ সোমবার। বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করছে একাত্তরে ঘাতকের হাতে শহীদ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে সকালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ১ মিনিটে একসঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বেদিতে ওঠেন। এর পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

বাঙালি জাতির জীবনে একটি কলঙ্কের দিন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছিল। পাকিস্তানিরা যখন বুঝতে পারলো মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখনই এদেশের পাকিস্তানি দোসর, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অর্থাৎ বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। 

এবারের বুদ্ধিজীবী দিবস এমন এক প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে যখন বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এক যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, এবং এর এক বুদ্ধিজীবী ঘাতক মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হবে জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ। মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকত হয় নভেম্বরের ২২ তারিখ।  

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ’৭০-এর নির্বাচন হতে শুরু করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় অর্জন পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার জন্য এদেশের কবি, সাহিত্যিক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, চলচ্চিত্রকারসহ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। 

২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকহানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা করার জন্য মুজিবনগর সরকার গঠন, বিভিন্ন এলাকাকে বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ করে সেক্টর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান তাছাড়া সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উজ্জীবিত করার জন্যও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

বীর বাঙালির সাহস ও মেধার কাছে যখন একে একে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প, আস্তানা নিশ্চিহ্ন হতে লাগলো, একে একে পরাস্ত হয়ে যখন আত্মসমর্পণ করতে লাগলো, তখনই বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে এদেশের রাজাকারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশকে চিরদিনের জন্য মেধাশূন্য দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত