সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১০:২২

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণজাগরণ মঞ্চের আলোচনা অনুষ্ঠান ও আলোর মিছিল

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে গণজাগরণ মঞ্চ প্রজন্ম চত্বরে আয়োজন করেছে আলোচনা সভা ও আলোর মিছিল।

সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠিতব্য এ আলোচনা সভার বিষয়বস্তু জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি: মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় বাংলাদেশ বিনির্মাণে কোন পথে আমরা?- এতে অংশ নেবেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যগণ। এরপর প্রজন্ম চত্ত্বর থেকে শুরু হবে আলোর মিছিল। 

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, ১৯৭১ সালে বিজয়ের প্রাক্কালের এই দিনে পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসসহ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সারাদেশে চালায় বর্বর বুদ্ধিজীবী নিধন। পাকিস্তানের পিশাচ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ডে জামায়াতে ইসলাম ও তাদের তৎকালীন সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ (বর্তমানে ইসলামী ছাত্র শিবির) পালন করেছে মাস্টারমাইন্ডের ভূমিকা। স্বাধীনতা প্রাপ্ত সদ্য বাংলাদেশকে মেধায় ও মননে অকার্যকর করে দেবার জন্যই এরা এই হত্যাকান্ড চালায়। সারাদেশ জুড়ে হত্যা করা হয় শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলি, শিল্পী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মেধাবী ও প্রতিভাবান মানুষকে। স্তব্ধ করা হয় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে।

তিনি আরও বলেন, ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধাপরাধীদেও বিচার কার্যে ইতোমধ্যেই অনেকের রায় ঘোষিত হয়েছে। রায় কার্যকরও হয়েছে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের। এই যুদ্ধাপরাধীদেও রায়ের অবজারভেশনে সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডে তাদেও প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা ও নেতৃত্ব। জামাত ও ইসলামী ছাত্র সংঘের (বর্তমান ইসলামী ছাত্র শিবির) নেতৃত্বেই বৃদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। তাই গণজাগরণ ম তার ছয় দফাতে সুস্পষ্টভাবেই সকল যুদ্ধাপরাধীদেও সর্বোচ্চ শাস্তিসহ, জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত