১৫ মে, ২০২২ ২২:১২
অবৈধ জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রির অভিযোগে একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গত শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আবু নোমান (২৮) ও সোহেল রানাকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের দাবি, চক্রটি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করেছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, ২৪টি জ্যামার এন্টিনা, চারটি এসি অ্যাডাপ্টর ও তিনটি মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। রোববার কারওয়ান বাজারে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বৈধ মালামালের আড়ালে অবৈধ জ্যামার দেশে আমদানি করেছে চক্রটি। চক্রের সদস্যরা নিষিদ্ধ জ্যামার, রিপিটার ও নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ বিভিন্ন ডিভাইস দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যে অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি করে আসছিল। দেশের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নোমান ও সোহেল রানার কাছ থেকে এসব ডিভাইস কিনে ব্যবহার করছে বলে র্যাবের কাছে তথ্য রয়েছে।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, গ্রেপ্তার দুজন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা অবৈধভাবে জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল রানার সোআইএম বিডি নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ খোলা আছে। এ ছাড়া নোমানের আইটিস্টল ডটকম ডটবিডি নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ রয়েছে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তারা আইপি ও ডিজিটাল ক্যামেরা, জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ এ সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতেন। তাদের ক্রেতার মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন এলাকার বহুতল ভবনের বাসিন্দা ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ। অপরাধীরাও অপরাধ করার উদ্দেশে উচ্চ মূলে এসব ডিভাইস ক্রয় করে থাকে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লে. কর্ণেল বলেন, নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা সে ব্যাপারে গ্রেপ্তারকৃতরা সদুত্তর দেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পলিকল্পনা ছিল। এ কারণে এসব অবৈধ জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করা হচ্ছিল। চক্রটি দুই শতাধিক জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করেছে বলে তথ্য রয়েছে র্যাবের কাছে। সকল তথ্য প্রমাণ নিশ্চিত হওয়ার পর ওইসব ক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়েছে, সোহেল রানার বিরুদ্ধে খুলনা ও চট্টগ্রামে চেক জালিয়াতির ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে।
আপনার মন্তব্য