সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ মে, ২০২২ ১৮:২৫

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্যা‌কে‌টে লাল চিহ্ন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত

অ্যান্টিবায়োটিক চিহ্নিতকরণ সহজ করতে ওষুধের প্যাকেট বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে সব অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্যা‌কে‌টে লাল চিহ্ন ব্যবহার কর‌তে হবে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিটিউক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি) আয়োজিত বাংলাদেশে চলমান অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্সের পরিস্থিতি ও এএমইউ ট্রেন্ডস শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক এস এম সাবরিনা ইয়াছমিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ বছ‌রের জানুয়ারি মা‌সে বিএপিআইয়ের সঙ্গে এক সভায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্যা‌কে‌টে লাল চিহ্ন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সং‌শ্লিষ্ট সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদনও দেওয়া হয়।’

সাবরিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘দেশের ৬৭ ভাগের বেশি ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্র ফার্মেসি অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানে না। তাই অ্যান্টিবায়োটিক চিহ্নিতকরণ সহজ করতে এবার মোড়ক বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে অ্যা‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক কিনে সেবনের প্রবণতা। অসুস্থ হলেই ফার্মেসি থেকে সাধারণ মানুষ ওষুধ কিনে খান। দেশের ৮টি বিভাগের ৪২৭টি ফার্মাসিতে জরিপ চালিয়ে আমরা দেখেছি, ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ ফার্মেসি কর্মী অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। এছাড়া তারা সহজে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতেও পারেন না।’

অনুষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি সংস্থা বিভিন্ন গবেষণা তুলে ধরেন। এ সময় ডিজিডিএ মহাপরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত