সিলেটটুডে ডেস্ক:

০৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:৫০

তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুক নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোর রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। তিনি কোনারপাড়া সীমান্তে আশ্রয় নেয়া মো. আয়ুবের ছেলে।

রোববার সকালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পাহাড়ি এলাকা থেকে ওমর ফারুকের মরদেহ উদ্ধার শেষে দাফন করেছে রোহিঙ্গারা।

বিষয়টি স্বীকার করে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম শূন্য রেখা রোহিঙ্গা শিবিরের মাঝি আবদুর রহিম জানান, শূন্য রেখার বাসিন্দা ওমর ফারুক ও আবদু নামে দুই কিশোর সকালে মিয়ানমার সীমান্তের পাহাড়ি ছড়ায় মাছ ধরতে যান।

এ সময় সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে মারা যান ওমর ফারুক। তবে এ ঘটনায় অপরজন প্রাণে বেঁচে যান।

বেঁচে যাওয়া কিশোরের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওমর ফারুকের স্বজন ও অন্যরা মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করেন।

সীমান্তে দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হওয়ার খবর গোয়েন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ‘মাইন বিস্ফোরণের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এদিকে গত ১৭ সেপ্টম্বর শূন্য রেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা মর্টারশেলের আঘাতে মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হন। তার আগের দিন তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে অন্য থাইন চাকমা নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হন।

তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্য রেখায় পাঁচ বছর ধরে আশ্রয়শিবির গড়ে তুলে বাস করছে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। এই শিবির ঘেঁষে মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া ও রাখাইন রাজ্যের একাধিক পাহাড় রয়েছে। পাহাড়ের ওপর দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একাধিক তল্লাশি চৌকি রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত