সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৪০

বিদায় নেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত: শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার মধ্য দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন এখন তিনি বিদায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত।

আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলনে একজন কাউন্সিলরও যদি আপত্তি তোলেন তিনি আর নেতৃত্বে থাকবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে গণভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় আমরা একটানা ছিলাম বলে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। আমার লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, ২০২১ সালের দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে কিন্তু আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এখন বিদায় নেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।’

পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কাউন্সিলর যদি বলে যে আমাকে চায় না, আমি কোনোদিনও থাকব না। এটা যেদিন থেকে আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট করেছিল, তখন থেকে এই শর্তটা মেনে যাচ্ছি।’

ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। গত ৪ অক্টোবর রাতে তিনি দেশে ফেরেন।

শেখ হাসিনা বিদেশ সফর করলে বরাবর সাংবাদিকদেরকে ব্রিফ করেন। সেই ব্রিফিংয়ে সফরের বিষয়ে একটি সাধারণ বিবৃতি থাকে। এরপর থাকে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই পর্বে আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক সবশেষ পরিস্থিতির সম্পর্কে সরকার প্রধানের বক্তব্য উঠে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলন নিয়ে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত তিনি। বলেন, ‘এটা ঠিক, দীর্ঘ দিন হয়ে গেছে। আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব কাউন্সিলররা সাধারণত ঠিক করে, নির্বাচিত করে। কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমার তো আসলে সময় হয়ে গেছে।’

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পাওয়ার বিষয়টিও ওঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রহীনতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করি। এখন একটানা তিনবার অর্থাৎ ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে আজকে ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একটানা গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। এর মধ্যে অনেক চড়াই উৎরাই, খুন-খারাপি, অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে অগ্নিসন্ত্রাসসহ নানা কিছু ঘটেছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত