সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৪১

নিপাহ ভাইরাসে পুত্রবধূ ও শ্বশুরের মৃত্যু, শাশুড়ি আইসিইউতে

নওগাঁর মান্দায় প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফরিদা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তার শাশুড়ি রহিমা বেগম (৫৮) রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ফরিদা আক্তারের মৃত্যু হয়। নিহত ফরিদা বেগম মান্দা উপজলোর কশব ইউনিয়নের চক চোঁয়ার গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী।

ফরিদা আক্তার ও রহিমা বেগম ২ জনই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে দেশ রুপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফরিদা বেগমের শ্বশুর আবদুল হকও সর্দি -জ্বর সহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পরিবারের ধারণা তিনিও নিপা ভাইরাসে মারা গেছেন।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল হকসহ পরিবারের লোকজন খেজুরের রস পান করে। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আব্দুল হকের শরীরে সর্দি -জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলজে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

এরপর আব্দুল হকের ছেলের বউ ফরিদা আক্তারের শরীরে সর্দি-জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে ১৮ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ২২ তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২২ তারিখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় মারা যান তিনি।

আব্দুল হকের স্ত্রী রহিমা বেগমও সর্দি-জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রামেকে রহিমা বেগম আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নওগাঁ সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার দেশ রুপান্তরকে জানান, খেজুরের রস পান করার পর থেকেই তারা অসুস্থ হন। পরীক্ষা করে চিকিৎসাধীন রহিমা বেগম ও মৃত ফরিদা আক্তারের শরীরে নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত