২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:১৯
বাংলাদেশের কৃষিখাতভিত্তিক উন্নয়ন এবং পানি ব্যবস্থাপনা খাতে নতুন করে ১০৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় এক হাজার ১৬৫ কোটি টাকা।
বুধবার সংস্থাটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশের বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা খাতে এডিবি বিভিন্ন সময় আরও ঋণ দিয়ে থাকলেও এবার বৃহৎ পরিসরে পানি এবং কৃষি খাতে ঋণ দিচ্ছে। জলবায়ু সংকট সামাল দিতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এ ঋণ দিচ্ছে আর্থিক সংস্থাটি।
এডিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৪২টি জেলায় এই ঋণ বণ্টন করা হবে এবং এর মাধ্যমে এসব জেলার বাসিন্দারা সরাসরি উপকারভোগীর তালিকায় আসবে। এর ফলে জেলাগুলোর ২ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমির ৭৭ শতাংশ মানুষের বন্যা ও খরার ক্ষতি প্রশমনের সুবিধা, সেচ সুবিধা এবং পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত হবে।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ ঋণের অর্থে নতুন করে ১০৫টি পানি ব্যবস্থাপনা স্থাপনার উন্নয়ন এবং পুরোনো ২৩০টিকে আগের তুলনায় শক্তিশালী করে তোলা হবে।
এ ছাড়া এই ঋণের অর্থে জরুরি ভিত্তিতে কক্সবাজারের বাঁকখালী রাবার বাগানের উন্নয়নসহ ১১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এডিবির জ্যেষ্ঠ পানি ব্যবস্থাপনা বিশ্লেষক ওলিভিয়ার দিরিউ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাংলাদেশের অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠী গ্রামে বাস করে এবং এরা প্রায় সবাই কমবেশি কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল। পরিকল্পিত পানি ব্যবস্থাপনার অভাব এবং জলবায়ু সংকটের কারণে এদের জীবন সংকটাপন্ন। এডিবির এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
বিশেষ করে সেচ সুবিধা ও কৃষি উন্নয়নের ফলে এসব এলাকার ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ সরাসরি সুবিধা ভোগ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
এডিবির পাশাপাশি এ প্রকল্পে আরও অর্থায়ন করছে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইআইইডি), নেদারল্যান্ডসের সরকার এবং বাংলাদেশের সরকার। প্রকল্পে আইআইইডি থেকে ৪২ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার, কারিগরি সহায়তাসহ নেদারল্যান্ডসের পক্ষ থেকে ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৫৮ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করা হচ্ছে।
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৬৮টি। মূলত এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নে এডিবি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আপনার মন্তব্য