২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:৫২
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর শেষ কর্মদিবসে তাঁকে বিদায় জানান নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে বিচলিত নন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, আমি কখনো আমেরিকা যাইনি, যাবও না।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ কর্মদিবস সম্পন্ন করে বিদায়বেলায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে আমি অত মাথা ঘামাই না। বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম একটা রাষ্ট্র। একাত্তরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তখন যারা ভয় দেখিয়েছিল তখন তারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি এতে বিচলিত নই। আর আমি কখনো আমেরিকা যাইনি, যাবও না।’
বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অসংখ্য মামলা আমি বিনা পয়সায় করেছি। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমার চেম্বারে এসেছে, আমি তাদের জন্য করেছি। মা-বাবার দোয়া ছিল বিধায় দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি।’
বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ স্থাপন এবং সুপ্রিম কোর্টে রেকর্ড ভবন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারলে আরও ভালো লাগতো বলেও উল্লেখ করেন বিদায়ী এ প্রধান বিচারপতি।
মামলা যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেজন্য বিচারকদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘অথরিটি পাওয়ার দুইভাবে ব্যবহার করা যায়, একটা হলো ভোগ করে যাওয়া, আরেকটা হচ্ছে দেখি চেষ্টা করে কিছু করা যায় কি না। বিচারপ্রার্থীদের জন্য কিছু করা যায় কি না। নিজের বা পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে একবারও তাকাইনি। চেষ্টা করেছি, প্রতিটি মুহূর্ত দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিদায় জানান নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আপনার মন্তব্য