১৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:০৫

১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবি গণবিচার আন্দোলনের

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের সংঘটিত গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্ষণসহ নৃশংস যুদ্ধাপরাধের দায়ে চিহ্নিত ১৯৫ সেনা কর্মকর্তার বিচারের দাবি জানিয়েছে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ গণবিচার আন্দোলন’।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানি ১৯৫ সেনা কর্মকর্তার প্রতীকী বিচারের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটে এ সংগঠনের। সংগঠনটির নেতারা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে নামের সঙ্গে ‘আন্দোলন’ শব্দটি যুক্ত করেছে। একই সঙ্গে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে আংশিক পরিবর্তন এনেছে। এগুলো উপস্থাপন করতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বলে জানান সংগঠনের আহ্বায়ক ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, এ সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৫ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার বিচারের জন্য পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি, জামায়াত ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নানা দাবি নিয়ে কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন দেশকে আরও সমৃদ্ধশালী করে স্থায়ী শান্তি ও সুশাসনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করবে।

এজন্য তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫ সেনা কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে এবং পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ৩১ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার সামনে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ গণবিচার আন্দোলন’ এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে জনতার আদালতে ১৯৫ সেনার প্রতীকী বিচার কাজ করা হবে।

একই দাবিতে ৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে সমাবেশ, ২০ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল বলাকা চত্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত র‌্যালি এবং ২ মার্চ সকল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ গণবিচার আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আবেদ খান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমত কাদির গামা, শিরিন আখতার এমপি, চলচ্চিত্রকার কাজি হায়াৎ, টিভি উপস্থাপক অঞ্জন রায় প্রমুখ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত