২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ১৯:৫৫
কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমেদকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, এই উদ্যোগ নেওয়ার কারণ বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি ও মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে যে সাংস্কৃতিক ও মূলধারার এক্টিভিটির যে পার্থক্য রয়েছে তা গুছিয়ে দেওয়া। মাদ্রাসায় অনেক মেধাবীরা পড়াশোনা করে। তারা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে, নীতি-নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করতে ভূমিকা পালন করে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট এবং তাদের সকল অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করবে। আজকের এই অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের বলতে চাই আমরা সবাই যেন একসাথে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারি।
তিনি আরও বলেন, আরবি ভাষাকে যদি আমরা কমিউনিকেশন ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ব্যবহার করি তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে থেকে আমাদের রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। তাছাড়া এটি আমাদের ধর্মীয় ভাষা। তাই আরবি ভাষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কোন কোর্স চালু করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামের প্রকৃত মর্মার্থে বিশ্বাস করে,ধর্মের প্রকৃত সত্যে বিশ্বাস করে। আমরা চাই বশীর আহমেদের মতো আরও অনেকে যারা, মাদ্রাসা, স্কুল, পলিটেকনিক, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে এবং যেখান থেকেই জ্ঞান অর্জন করছে তারা যেন বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সম্মানকে আরও উচ্চ আসনে আসীন করতে পারে। আমরা চাই বশীরের মতো আরও অনেকে ধর্মীয়, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি,চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে। আর বশির আহমদের মতো যে ভাইয়েরা ইসলামের প্রকৃত তাৎপর্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে চায় তাদের মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি আসুন আমরা ইসলামের সত্যটাকে জানি এবং ইসলামের যে প্রকৃত বাণী সকলকে নিয়ে ভালো থাকা ও সকল ধর্মের মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করা সেই মতবাদ বুকে ধারণ করে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি যেই বাংলাদেশের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পরবো।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা কওমি মাদ্রাসাকে যে স্বীকৃতি ও সনদ দিয়েছেন তার মাধ্যমে প্রমাণ হয় কারা ধর্মকে শ্রদ্ধা করে রাজনীতি করে এবং কারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করে।
হাফেজ বশির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ছাত্রলীগের এরকম উদ্যোগের জন্য শুকরিয়া এবং আমি খুবই আনন্দিত।
উল্লেখ্য, এসময় ছাত্রলীগের মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমেদকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেন। তিনি হাফেজ বশির আহমেদকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি উপহার বক্স দেন। এর মধ্যে বই, পাঞ্জাবির কাপড়, জায়নামাজ, টুপি, কোরআন শরিফসহ আরও বেশ কিছু উপহার ছিল।
প্রসঙ্গত, ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় ৬৮ দেশের মধ্যে বশির আহমেদ প্রথম হন। এর কয়েকদিন দিন আগে আলজেরিয়ায় ৯০টি দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ৩য় স্থান লাভ করে এই ১১ বছর বয়সী বালক।
আপনার মন্তব্য