সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ১১:৫০

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং তার পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের একটি যুব প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধন রয়েছে, যা দুই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ত্যাগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে উন্নয়ন অভিযাত্রায় অংশীদার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে হৃদয় ও আত্মার সম্পর্ক বলে উল্লেখ করে মুর্মু বলেন, দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। শিল্প, সংগীত, ক্রিকেট এবং খাবারের ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘রবি ঠাকুরের লেখা দুই দেশের জাতীয় সংগীতই গর্বের উৎস। বাউলসংগীত এবং কাজী নজরুল ইসলামের রচনার প্রতি আমাদের ভালোবাসা অভিন্ন। আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্যে আমাদের ঐক্য ও বৈচিত্র্য উদ্‌যাপিত হয়।’

ভারত ও বাংলাদেশকে একটি বৃহৎ ও উদ্যমী যুব জনসংখ্যার আবাসস্থল বলে উল্লেখ করেন মুর্মু। তিনি মনে করেন, বিশ্বকে একটি নতুন রূপ দেওয়ার সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে এ যুবসমাজের। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী দিনের নেতা হিসেবে সবুজ, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলা তরুণদের দায়িত্ব।

বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের যে যুব প্রতিনিধিদল ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন, তাদের সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা হয়েছে। সেখানে ৫০ শতাংশেরও বেশি নারীসহ সর্বস্তরের অংশগ্রহণকারী রয়েছে।

এ সফর সম্পর্কে মুর্মু বলেন, এখানে তাঁদের উপস্থিতি শুধু সফর নয়; এটি দুই দেশের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ গড়ে তুলবে। এটি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের স্থায়ী চেতনার প্রমাণ, যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে তুলে ধরছে।

রাষ্ট্রপতি মুর্মু যুব প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ভারতের বিভিন্ন দিক এবং এর বৈচিত্র্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে উন্নয়নের অভিজ্ঞতার সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম’ ২০১২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল দুটি দেশের তরুণদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সমঝোতা গড়ে তোলা, ধারণার আদান-প্রদান এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির উপলব্ধি উন্নত করা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত