সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫৯

বেইলি রোডের আগুনে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা

ফাইল ছবি

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় রমনা থানায় অবহেলাজনিত হত্যা মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে।

পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শনিবার (২ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ সালমান ফার্সী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আগুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিং করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনের নিচতলার চুমুক রেস্টুরেন্টের (ছোট রেস্টুরেন্ট) দুজন মালিক ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আটককৃতরা হলেন ভবনের নিচতলার চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান।

পুলিশের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিচতলায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। পেছনের দিকে বড় এবং সামনের দিকে ছিল হালকা খাবার চা-কফির ছোট রেস্টুরেন্ট। ছোট রেস্টুরেন্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই ভিডিও ফুটেজও সবার কাছে রয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলা জনিতকারণে মৃত্যু অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবেন। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন।

অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয় জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত