সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ মার্চ, ২০২৪ ১৪:২৪

পণ্য মজুদ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা : আইনমন্ত্রী

পণ্য মজুদ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, ‘পণ্য মজুদ করে কেউ যদি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তাহলে ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলাগুলো দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলা জট নিরসনের জন্য ডিসিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বাজার ব্যবস্থায় অস্থিতিশীল করে কেউ মজুদ করলে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য ১৯৭৪ সালে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট করা হয়েছিল। বিশেষ এই কারণটাকে চিহ্নিত করার জন্য এই অ্যাক্ট করা হয়েছে। আর আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে বলছি, এরকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ডিসিরা কী বলেছেন এবং আপনার তরফ থেকে তাদের কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। যেসব মাল জব্দ করা হয়, সেসব মাল নিষ্পত্তির বিষয়ে কী করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে আমরা ই-জুডিসিয়ালির কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলাজটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলাজট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে। দ্বিতীয় কথা যেটা বলেছি সেটা হলো, সবার কাছে বিশেষ করে ডিসিদের জন্য একটা ইস্যু। সেটা হলো ভ্রাম্যমাণ আদালত অ্যাক্টের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব এবং একটা বিষয়ে স্পষ্টকরণ করা হয়েছে। সেটা হলো অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট একটা আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেন। সেক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়, যে হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টকরণ করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ অ্যাট্যার্নি জেনারেল, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আমি বলেছি আবেদনটি ডিসপোজ করা বা সম্ভব হলে গ্রহণ করা। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা জবাব দিয়ে এ ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করে দেওয়া। সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু ছিল না।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার বিষয়ে আমি নিজেই তুলেছিলাম এবং বলেছি আমরা একটা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।’

সম্প্রতি বেইলি রোডের রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার ঘটনা এবং এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে, আইনের শাসন না থাকার কারণে ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে বা গাফলতির জন্য ঘটেছে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত শেষ হয়ে যদি আদালতের কাছে তদন্ত রিপোর্ট আসে এবং সেখানে যদি মামলা শুরু করা হয়। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত