সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:৫৬

প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাইলেন বিশিষ্টজনেরা

প্রীতি উরাং এর মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেছেন ২৫ বিশিষ্ট নাগরিক।

বুধবার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ। শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মীরা রয়েছেন বিবৃতিদাতাদের মধ্যে।

গণমাধ্যমে প্রেরিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বহুতল ভবনের নয় তলা থেকে প্রীতি উরাং নামের ১৫ বছরের এক শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু ঘটে। নিহত শিশু ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। প্রীতি উরাং নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা প্রীতিকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে এলাকায় বিক্ষোভ করে।

৭ ফেব্রুয়ারি প্রীতি উরাং এর বাবা রাকেশ উরাং মোহাম্মদপুর থানায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী বর্তমানে কারাগারে আছেন।

২০২৩ সালের ৬ আগস্ট সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার ৭ বছর বয়সী অপর এক শিশু গৃহশ্রমিক ফেরদৌসী একই ভাবে একই ভবনের নয় তলা থেকে পড়ে প্রাণে বাঁচলেও তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হলেও মামলার আসামি সৈয়দ আশফাকুল হক তার স্ত্রী মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

একই বাসায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পর পর দুই শিশুশ্রমিকের হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনক। হত দরিদ্র প্রান্তিক চা শ্রমিকের পরিবারের পক্ষে সমাজের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা অতি দুরূহ ব্যাপার। এই ঘটনায় সঠিক ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজের দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। আমরা প্রীতি উরাং এর মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতি স্বাক্ষরকারীরা হলেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা; রাশেদা কে. চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা; রামেন্দু মজুমদার, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন; ডা. সারওয়ার আলী, ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর; অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন; অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ; ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সভাপতি, মহিলা পরিষদ; এস.এম.এ সবুর, সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি; খুশী কবির, মানবাধিকার কর্মী; এম. এম. আকাশ, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সালেহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন; পারভেজ হাসেম, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; আবদুল ওয়াহেদ, কার্যকরী সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক জোট; এ কে আজাদ, সংস্কৃতি কর্মী; অ্যাডভোকেটজীবনানন্দ জয়ন্ত, সংগঠক, গণজাগরণ মঞ্চ; ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি; ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ; মেইনথিন প্রমীলা, কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম; আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব); দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম; রেজাউল কবির, সাধারণ সম্পাদক, খেলাঘর; প্রিসিলা রাজ, লেখক ও গবেষক; এবং গৌতম শীল, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত