সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ মার্চ, ২০২৪ ১৪:০১

আমানউল্লাহ আমানের জামিন, বিদেশ যেতে নিতে হবে অনুমতি

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছর দণ্ডিত কারাবন্দি বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

এদিকে, জামিন পেলেও বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১ আবুল কাশেম।

এরপর তিনি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন। একইসঙ্গে জামিন আবেদনও করেন। তবে আপিল বিভাগ গত ৪ ডিসেম্বর তাকে জামিন না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি করতে বলেন। সে অনুসারে শুনানি শুরু হয়।

২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত বছরের ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়।

এরপর রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান গত ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত