সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৫:২৫

জাতিসংঘের সামনে একুশের ভাস্কর্য উন্মোচন

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে প্রতিবছরের মতো স্থাপন করা হয়েছে শহীদ মিনার তথা ‘একুশের ভাস্কর্য’।

দাগ হ্যামারসোল্ড প্লাজায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।

এসময় গাওয়া হয় মহান একুশের অমর সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।

আগের বছরগুলোয় শুধু ২১ ফ্রেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে এই ভাস্কর্য রাখা হলেও এবার পুরো ফেব্রুয়ারিজুড়ে এটি সেখানে থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাসুদ বিন মোমেন ভবিষ্যতে নিউ ইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনে নিজের আগ্রহের কথা জানান।

তিনি বলেন, “এর আগে আমি জাপানে দায়িত্ব পালনকালে প্রবাসীদের সহায়তায় টোকিওতে স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনে সক্ষম হয়েছি। নিউ ইয়র্কেও স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনে আপনাদের সবার আন্তরিক সহায়তা চাই।

“২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পাওয়ায় জাতিসংঘের সামনে স্থায়ী একটি শহীদ মিনারের দাবি আজ সার্বজনীনতা পেয়েছে। তাই তা অপূর্ণ থাকবে বলে মনে করি না।”
নিউ ইয়র্কের ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’ ও ‘বাঙালির চেতনামঞ্চ’ এর উদ্যোগে ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘের সামনে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে অস্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করে প্রবাসী বাঙালিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

তাদের উদ্যোগেই স্থাপিত এবারের ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন অলম্পিকি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিল্পী খুরশীদ সেলিম। আর এটি নির্মাণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান শিল্পী মৃণাল হক। 

এর আগে ভাস্কর্য স্থাপনে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র কর্তৃক অনুমতির পর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সিটি মেয়র দপ্তরের কর্মকর্তা জেনিফার লেন্টাস জাস জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিউ ইয়র্ক গভর্নরের প্রতিনিধি হার্শ কে পারেখ, সিটি কম্পট্রোলারের প্রতিনিধি আলেয়া লতিফ, নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব জামালউদ্দিন হোসেন প্রমুখ।

প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ছিলেন অনুষ্ঠানে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত