সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৬:১৪

যুদ্ধাপরাধী পরিবারের নাগরিকত্ব থাকবে, ভোটাধিকার থাকবে না

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি করার এবং ভোটাধিকারও কেড়ে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কটূক্তিকারী ও মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিচারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতকে অচিরেই নিষিদ্ধ করা হবে এবং তাদের ভোটাধিকার থাকবে না। এ দেশে সাধারণ নাগরিক হিসেবে শুধু বসবাস করতে পারবে তারা।’

মন্ত্রী বলেন, “আমি জাতির সামনে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের জমিজমাসহ সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের পরিবারে যারা আছে, তারা এদেশে কোন সরকারি চাকরি পাবে না।

“এসকল যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্যরা শুধুমাত্র এদেশে নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু তাদের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না।”

যুদ্ধাপরাধীদের ভোটার হওয়ার পথ বন্ধে তিন বছর আগে সংসদে বিল পাস হয়।

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মোজাম্মেল বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর ‘অঘোষিত আমির’ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছেন। অথচ দশ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে ২০ বার স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে তার স্বাক্ষরিত বাণীতে বলেছেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে।

“আর এখন তাদের প্রভু পাকিস্তান যখন সে দেশের পার্লামেন্টে শহীদদের সংখ্যা অস্বীকার করেছে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করেছে, তখন থেকেই পাকিস্তানকে খুশি করার জন্য খালেদা, তার দলের নেতারা মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন।”

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষকারীদের বিচারে আইন পাস করা ছাড়াও পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে এদেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা করেন তিনি।  

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক এম এ করিম প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত