
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:২০
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রশনও স্থগিতও করা হয়নি। শুধুমাত্র তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে জিটিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক মেহদি হাসানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারবে না। তারা একটি দল হিসেবে বৈধ কিন্তু তাদের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় তাদের কার্যক্রম সচল করা হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা দিতে পারবে। তারা বলতে পারবে নির্বাচনে কোন দল অংশ নিতে পারবে। কারণ তারা নির্বাচন অনুষ্ঠান করছে। সুতরাং তারাই ভালো বলতে পারবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের লাখ লাখ সমর্থক আছে এটা আমি মানি না, তবে তাদের সমর্থক আছে। তাদের সমর্থকরা সাধারণ ভোটারের মতোই ভোট প্রদান করতে পারবে। তবে সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের প্রতীক থাকবে না।
ড. ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের রাজনৈতিক দল বললেও তারা রাজনৈতিক দলের মতো নিজেদের তুলে ধরতে পারে নি। তারা মানুষ হত্যা করেছে। এমনকি তারা যা করেছে তার কোনো দায় পর্যন্ত তারা নেয়নি। শুধু তাই নয়, তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য তারা সব সময় অন্যকে দোষারোপ করেছে।
২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এ সাক্ষাৎকারে আরও আলোচনায় উঠে আসে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বের যৌক্তিকতা, রোহিঙ্গা সংকট ইত্যাদি বিষয়।
অন্তর্বর্তী সরকার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে থাকে, কিন্তু বাংলাদেশে কেন ১৮ মাস সময় লাগছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আপনি বলছেন আমরা কেন নির্বাচন দিতে অনেক সময় নিচ্ছি, অনেক মানুষ তো বলছে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকুন, ১০ বছর থাকুন, ৫০ বছর থাকুন। মানুষ এই ধরনের কথা বলছে। তারা বলছে আপনি ক্ষমতায় থাকুন। নির্বাচনের কি দরকার?
আপনার মন্তব্য