সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৪ মার্চ, ২০১৬ ২২:১৬

সমালোচনার মুখে পোস্ট প্রত্যাহার করে নিলেন লাকি, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ইমরানের

ঢাকায় পাকিস্তানি নাগরিক বশির আহমেদ (যিনি বশির চাচা নামে সমধিক পরিচিত) কে হেনস্তা করার অভিযোগ এনে ফেসবুকে দেয়া নিজের পোস্টটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকি আক্তার।

তীব্র সমালোচনার মুখে শুক্রবার (৪ মার্চ) ফেসবুক থেকে নিজের পোস্ট সরিয়ে নেন লাকি।

এদিকে, 'বশির চাচা'কে হেনস্তার মিথ্যে অভিযোগ এনে যারা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন তাদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।


লাকি নিজের ফেসবুকে পাতায় লিখেছেন, “একজন সুপরিচিত ক্রিকেট ভক্ত বাংলাদেশের মাঠে এসে লাঞ্ছিত হলেন। কিন্তু একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি মনে করি, বশির আহমেদ যতটুকু অসম্মানিত হয়েছেন তার চেয়ে বহুগুণ বেশি অসম্মানিত হয়েছে আমাদের দেশের পতাকা।”

স্ট্যাটাসে এই ঘটনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করে দায়ীদের শাস্তির দেবার জানিয়েছেন তিনি। সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে বশির আহমেদকে হেনস্তার অভিযোগ তুলেন তিনি। ফাইনালের আগেই সাংসদ ইলিয়াসের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এই পোস্টের সাথে জুড়ে দেওয়া ছবিতে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সামনে বাংলাদেশী পতাকা জড়ানো পাকিস্তানী বশির সমর্থক কাঁদছেন।

লাকির এই স্ট্যাটাসের উপর ভিত্তি করে 'ঢাকার মাঠে পাকিস্তানী সমর্থককে হেনস্তার অভিযোগ' শিরোনামে খবর প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা।

এদিকে লাকির স্ট্যাটাস ও বিবিসি'র সংবাদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় তোলপাড়। তবে যাকে হেনস্তার অভিযোগ সেই বশির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'তাকে কেউ হেনস্তা করেনি। বরং বাংলাদেশকে ভালোবেসেই এ দেশের জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়েছেন তিনি।'

বশির বলেন, 'কেউ আমাকে জোর করে বাংলাদেশের পতাকা পরায়নি (নো বডি ফোর্সড), আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি, এখানকার মানুষ খুবই ভালো। এমনকি ফাইনালে বাংলাদেশের জয় নিয়েও আমি আশাবাদী।’

বশির আহমেদের এই বক্তব্যের পর লাকি আক্তারের স্ট্যাটাস নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। অনেকেই এমন প্রচারণাকে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেন।

সমালোচনার মুখে শুক্রবার বিকেলে নিজের স্ট্যাটাসটি প্রত্যাহার করে নেন লাকি।

তবে শুক্রবার রাতে এই বিষয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেন, 'যারা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই নিজের দেশকে খাটো করেছেন (প্রোপাগান্ডা ছড়াইছেন) তাদের উচিত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া। ন্যুনতম দায়িত্ববোধ থাকলে বিবিসি বাংলা'র উচিত অফিসিয়ালি বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত