সাব্বির খান

১৭ মার্চ, ২০১৬ ২২:১৪

শাহজালাল বিমানবন্দরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যাংক কর্মকর্তার জেল

পরিবেশ বিনষ্ট ও যাত্রী হয়রানীর অভিযোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ সাপেক্ষে জনতা ব্যাংকের সহকারী নির্বাহী অফিসার আরিফ চৌধুরীকে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ প্রতিবেদকের কাছে মুঠোফোনে ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেন।

যাত্রীদের সুবিধার জন্য হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে রয়েছে একাধিক মানি এক্সচেঞ্জ বুথ। যাত্রী ঠকানো, রশিদ না দিয়ে মুদ্রা বিনিময়, লোকাল বাসের মত যাত্রী ডাকাডাকি ইত্যাদি বিষয়ে বুথগুলোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। এ সব বিষয়ে একাধিক ব্যাংক ও প্রাইভেট মানি চেঞ্জারের অনেক কর্মকর্তাকে একাধিক বার বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জরিমানা করা সহ সতর্ক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে মোবাইলকোর্ট পরিচালনাকালে জনতা ব্যাংকের এসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার আরিফ চৌধুরী চেয়ারের উপর পা তুলে উচ্চস্বরে ‘মাছবাজার’এর মত যাত্রীদের  ডাকাডাকি করতে দেখা যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ বিষয়টি লক্ষ্য করে সেদিকে এগোতে থাকলে উক্ত কর্মকর্তা তাঁকেও উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, “আসেন আসেন.. ডলার ডলার.. হাই রেট.."!

তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের ক্ষমতাবলে এবং তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিমানবন্দরের পরিবেশ বিনষ্ট করাসহ পাবলিক নুইসেন্স ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

"ম্যাজিস্ট্রেট, অল এয়ারপোর্টস অব বাংলাদেশ" নামক জনপ্রিয় ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট দেখে এই প্রতিবেদক মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফের সাথে মুঠোফোনে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “বিমানবন্দরের যে কোন ধরণের বেআইনি কাজ কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দেশটা আমাদের সবার। আমরাই বাংলাদেশ, বলে তিনি যোগ করেন।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত