যে সব কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়, সেগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ না বলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বলে কিছু নেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'অতি উৎসাহের কারণে আমরা দুই-একটার নাম দিয়ে দিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। আসলে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বলে কিছু নেই। এটা খুশির জন্য বলেন, আনন্দের জন্য বলেন। কিন্তু এটা কিন্তু অফিশিয়াল কোনো নাম না। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বলে কিছু নেই।'

এছাড়াও মফস্বল থেকে ঢাকায় বদলির জন্য সরকারি কলেজের শিক্ষকদের তদবিরের কঠোর সমালোচনা করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এমন সুপারিশের ক্ষেত্রে বিষয়টি নেতিবাচক হিসেবে দেখা হবে, এর ফল হবে উলটো।

মন্ত্রী বলেন, বদলির জন্য তার কাছে যতো লোক যান তাদের ৮০ শতাংশ ঢাকায় থাকতে চান।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আমাদের অনেক টিচার আছেন, সবাই উদগ্রীব, তার পছন্দের জায়গায় যাওয়ার জন্য। আমার কাছে যদি ১০০ জন লোক আসে, তার ৮০ জন আসে কেবল ঢাকায় আসার জন্য।'

এ ধরনের শিক্ষকদের সতর্ক করে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'মন্ত্রী, সচিব, ডিজির কাছে কেউ এমন সুপারিশ নিয়ে আসলে তার জন্য সেটি নেতিবাচক হিসেবে দেখা হবে।'

এখন থেকে কোনো তদবির চলবে না- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'বদলির জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। জেনুইন হলে অবশ্যই বদলি করব।'

কলেজের অধ্যক্ষদের শিক্ষক হিসেবে ভালো হওয়ার পাশাপাশি পরিচালক হিসেবে দক্ষ হওয়ার উপরও গুরুত্ব দেন শিক্ষামন্ত্রী।

নাহিদ আবারও পাবলিক পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার কথা বলেন।

“ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, দীর্ঘতম পরীক্ষা চলতে পারে না। ১০ দিনের বেশি পরীক্ষা চলতে পারে না।”

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষক সংকটের কথা তুলে ধরেন।

এই সম্মেলনে সারাদেশের ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।