ওসমানীনগর প্রতিনিধি

১১ মে, ২০১৬ ১৮:১৫

উপজেলা নির্বাচনে হেরে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী

উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবার স্ব-স্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। প্রার্থী দুজন হচ্ছেন- যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণোদয় পাল ঝলক এবং ওসমানীনগর থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস টি এম ফখর উদ্দিন। তারা বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হলেও এবার আবারো নিজ নিজ রাজনৈতিক দল থেকে স্ব স্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (ওসমানীনগর উপজেলা গঠনের পূর্বে) ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা সৈয়দ আলী আছগর। তিনি ৩৪হাজার ২ ভোট পান। আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী অরুণোদয় পাল ঝলক পান ৩০হাজার ১২৩ ভোট। বিজয়ী প্রার্থীর সাথে তার প্রাপ্তভোটের ব্যবধান ৩হাজার ৮৭৯। বিএনপির প্রার্থী এসটিএম ফখর উদ্দিন ২০হাজার ৮৫৬ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। উক্ত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন পান ৪হাজার ৮১৫ ভোট এবং ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামসুল ইসলাম শামীম পান ৪হাজার ৬৮৯ ভোট। বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে অরুণোদয় পাল ঝলক জয়ী হতেন বলেই ধারণা তার অনুসারীদের।

বালাগঞ্জের পশ্চিমাংশের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে নবগঠিত ওসমানীনগর উপজেলার অধীনে এবার প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয় দল থেকেই সমান সংখ্যক প্রার্থী দেওয়া হয়। কিন্তু দলীয় প্রার্থীদের ঘুম হারাম করে দিচ্ছেন উভয় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দয়ামীর ইউনিয়নে এসটিএম ফখর উদ্দিন বিএনপির একমাত্র প্রার্থী হলেও ওয়ান ইলিভেন পরবর্তী সময়ে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ নুনুকে অনেকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে ভাবছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা নুর উদ্দিন আহমদ নুনুকে পাত্তা না দিলেও দলীয় প্রার্থী এসটিএম ফখর উদ্দিনের নির্বাচনী যাত্রা পথে তাকে ‘কাঁটা’ হিসাবেই ভাবছেন তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন বিএনপির একাংশ গোপনে নুনুর পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে বালাগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট দ্রোহে অরুণোদয় পাল ঝলকের কপাল পুড়লেও এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি রয়েছেন সুবিধা জনক অবস্থানে। তাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের একমাত্র প্রার্থী হিসাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সক্রিয় দুটো পক্ষই তার বিজয়ে একযোগে কাজ করেছে। এছাড়া অরুণোদয় পাল ঝলকের নিবার্চনী ইউনিয়ন তাজপুর ঐতিহাসিক ভাবে আওয়ামীলীগের ‘শক্ত ঘাটি’ হিসাবে পরিচিত।

প্রসঙ্গত, ৫ম ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনে ওসমানীনগরে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে ২২জন ও স্বতন্ত্র হিসাবে আরো ১২জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত। জামায়াতেরও এক প্রার্থী নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে। নব গঠিত ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১লাখ ২৭ হাজার ৯১০জন ভোটার আগামী ২৮শে মে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত