সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ মে, ২০১৬ ১৩:২২

শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করার ঘটনাটি দণ্ডবিধিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ: আইনমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান কর্তৃক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্চনা করার ঘটনায় পুলিশ ফৌজদারি খুঁজে না পেলেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মনে করেন বাংলাদেশ দণ্ডবিধিতে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিশেষ জজদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করার ঘটনাটি পেনাল কোড (দণ্ডবিধি) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।’  জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন- শিক্ষক লাঞ্ছনা : ফৌজদারি অপরাধ হয় নি, দাবি পুলিশের


গত ১৩ মে বিকেলে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ রটিয়ে  কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সবার সামনে কান ধরে উঠবস করিয়ে ক্ষমা চাওয়ান স্থানীয় সংসদ ও জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম ওসমান।


ঘটনার তিনদিন পর বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকম নুরুল আমিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন- মসজিদের মাইকে গুজব রটিয়ে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন সেলিম ওসমান

ইতোমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের তথ্য রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এদিকে শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা ও দোষী সাংসদের শাস্তির দাবি ওঠলেও সে ঘটনায় কোনো ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হয় নি বলে মন্তব্য করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

সোমবার (১৬ মে) সেগুনবাগিচায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে  এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জানতে চান,শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশ কি পদক্ষেপ  নিয়েছে। তখন  ওই ঘটনায় পুলিশের কিছু ‘করার ছিল না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত