০৬ জুন, ২০১৬ ১৪:৩২
কোনো ধর্মেই হত্যাকাণ্ডের বিধান নেই দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রশ্ন তুলেছেন, আইএসের নাম করে যারা মানুষ হত্যা করছে তারা আসলে কী চায়? কোন ধরনের রাষ্ট্র কায়েম করতে চায় তারা?
সোমবার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে যে পুলিশ অফিসারের স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে সে পুলিশ অফিসার ছিলেন একজন চৌকস অফিসার। জঙ্গি দমনে তার ভূমিকা রয়েছে।’
এ হত্যাকাণ্ডকে টার্গেট কিলিং দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতেই দুর্বৃত্তরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কোনো নারীর উপর এ ধরনের হামলা হবে সেটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এ ঘটনা জড়িতদের আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।’
পুলিশ ও পুলিশের পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনার পর পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারকে কিভাবে নিরাপদে রাখা যায় সে ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে।’
এত ঘটনার পরও আপনারা কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে দাবি করেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে সবই টার্গেট কিলিং। আমেরিকা লন্ডনেও এ ধরনের টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটছে। দেশে ব্যবসা চলছে, রাস্তাঘাট ঠিকমতো চলছে, মানুষ শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সব ডাটাই পজেটিভ রয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, সম্প্রতি যেসব জঙ্গি হামলা হয়েছে তার মধ্যে ৩৭ মামলার মধ্যে ৩৫ মামলার আসামি সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টির বিচার হয়েছে। ৬টির চার্জশিট দেয়া হয়েছে। আর গ্রেপ্তারকৃত ৪৯ জন দোষ স্বীকার করেছেন। বাকিগুলোরও চার্জশিট দেয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়ে প্রশ্ন করেন- তাহলে কী করে বলেন, জঙ্গি হামলার বিচার হচ্ছে না?
এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন? সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন- আমেরিকায়ও তো বন্ধ হচ্ছে না।
এদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই দাবি করে বলেন, এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে বাংলাদেশের একটা গোষ্ঠীর মদদ রয়েছে। একটা দলের নেতাকে ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রে অনেক রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষও জড়িত। প্রমাণ পেলেই আমরা তাদের ধরব।
জঙ্গি প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রতিও জোর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আপনার মন্তব্য