সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ জুন, ২০১৬ ০৯:৫৩

বগুড়ার শিয়া মসজিদে ‘হামলাকারী জঙ্গি’ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলা মামলার আসামি কাউসার (২৫) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এ সময়  পুলিশের দুই কনস্টেবল আবু রায়হান ও আলতাফ হোসেন হাতবোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত জেএমবি সদস্যের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৮ জুন) ভোররাতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জে শিবগঞ্জের বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের জামতলী ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি গুলির খোসা, ৫টি হাতবোমা, ২টি ছোরা, একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।

জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্যরা মঙ্গলবার রাতের যেকোনো সময় শিবগঞ্জ উপজেলার কোনো একটি স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি  দল শিবগঞ্জ-পীরব সড়কের বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের জামুরহাট-জামতলী ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৩ থেকে ৪ জন যুবক ব্যাগ হাতে ব্রিজের কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের থামতে বলে। কিন্তু ওই যুবকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করে।

এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে জেএমবি সদস্যরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালাতে থাকে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ জেএমবি সদস্য কাউছারকে আটক করে পুলিশ। পরে  হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কাউছার আলী জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার কমরগ্রামের আমির আলীর ছেলে। পুলিশের কাছে সংরক্ষিত ছবি দেখে তারা নিশ্চিত হয় যে নিহত যুবক জেএমবি সদস্য এবং শিয়া মসজিদে বন্দুক হামলায় সরাসরি জড়িত ছিল।


পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি গুলির খোসা, ৫টি হাতবোমা, ২টি ছোরা, একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের হরিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিয়া মসজিদে মাগরিবের নামাজের সময় একদল বন্দুকধারী হামলা চালায়। এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত এবং কমপক্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত