সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ জুন, ২০১৬ ১৬:২৫

মিতু হত্যা : গ্রেপ্তার দুজন ৭ দিনের রিমান্ডে

পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত।

‘সাবেক শিবিরকর্মী’ আবু নছর গুন্নু ও শাহ জামান ওরফে রবিনকে রোববার (১২ জুন) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।

শুনানি শেষে দুপুরে মহানগর হাকিম হারুণ-অর রশিদ দুজনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন জানিয়েছেন।

মো. ফখরুদ্দিন বলেন, “গ্রেপ্তার দুজনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করে অস্ত্র উদ্ধার এবং হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও জড়িতদের সম্পর্কে জানতে আমরা তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। আদালত দু’জনের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

এর আগে বুধবার (৮ জুন) সকালে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ থেকে আবু নছরকে এবং শনিবার (১১ জুন) সকালে নগরীর বায়েজিদ থানার শীতলঝর্ণা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন যুবক শাহ জামান রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, আবু নছরের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফরহাদাবাদ গ্রামে। তিনি স্থানীয় মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি একসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। এছাড়া রবিন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া অনুসরণকারী সেই যুবক।

রবিন লাকসামের জনৈক শাহজাহানের পুত্র। পড়াশুনা করেছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। তার গতিবিধি সন্দেহজনক ও সে জঙ্গি মতাদর্শের বিশ্বাসী বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার এ মামলার পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কাজী রাকিব উদ্দিন আবু নছর গুন্নুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবদুল কাদেরের আদালত নছরকে কোন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে রিমান্ড আবেদনের শুনানি রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেন।

গত ৫ জুন সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত