সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জুন, ২০১৬ ১৯:২২

‘মিতু হত্যা তদন্তে অগ্রগতি নেই’

মনিটরিং কমিটি করেও এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীর খুনীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহভাজন ৩ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়নি ডিবি। তদন্তে অগ্রগতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার।

মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে মাস্টারমাইন্ড বলে কথিত শাহ জামান রবিন, শিবির নেতা আবু নছর গুন্নু এবং জেএমবি সদস্য বুলবুল আহমেদ ফুয়াদ ওরফে আপেলের।

তবে জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যার কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল কাহার।

তিনি বলেন, তদন্তের যতদিক আছে সবগুলো চুলাচেড়া বিচার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কোনো কিছু যেন বাদ না যায়। যাতে করে একটা বিষয় বাদ যাওয়ার কারণে সফলতা আসবে না এমন কোনো সুযোগই আমরা দিতে চাই না। এখন সেই মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে মাইক্রোবাস এবং যে দু’জনকে ধরা হয়েছে সেরকম অনেক কিছুই আছে আমাদের কাছে যেগুলো মেলানোর অপেক্ষায় আছি মেলালে হয়তো একটা রেজাল্ট দিতে পারব।

চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ৫ জুন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। সাহসী কর্মকর্তা এবং জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সফল বলে পরিচিত এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার নেপথ্যে জঙ্গি সম্পৃক্ততাকে সন্দেহে রেখে মামলার তদন্ত চলছে বলেও জানান ইকবাল বাহার।

তিনি বলেন, টার্গেট কিলিং যখন হয় তখন অপরাধী আট ঘাট বেধেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করে। পুলিশের কাছে এমন তথ্য আগাম পাওয়া গেলে নিবারণ করা সম্ভব কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রে এমন তথ্য পাওয়া হয়ে ওঠে না।

সেই জায়গাতে সাংবাদিকদের কাছে সহযোগীতা চান ইকবাল বাহার। সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা মাঠ-ঘাট চষে বেড়ান ঘুরে বেড়ান অনেক কিছুই হয়তো আপনার জানতে পারেন। আসলে এই জায়গাতে দেশবাসীকে সম্মলিতভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

হত্যার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা বদল করা ছাড়াও বুধবার বিশেষ অপরাধ শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি জহিরুল ইসলামকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত সহায়ক কমিটি করা হয়।

চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ৫ জুন রোববার সকালে শিশু সন্তানের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত