সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ জুন, ২০১৬ ০৯:৪৪

সেই ফাহিমও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

মাদারীপুরের কলেজশিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের মামলায় রিমান্ডে থাকা গোলাম ফায়জুল্লাহ ফাহিম পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সারওয়ার হোসেন বলেন, সদর থানার মিয়ারচর এলাকায় পুলিশ ফয়জুল্লাহকে নিয়ে অভিযানে যায়। ফয়জুল্লাহর সহযোগীরা সেখানে অবস্থান করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি ছোড়ে। পুলিশের গাড়িতে গুলি লাগে। এ সময় ফয়জুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

এর আগে গতকাল শুক্রবার মাদারীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফাহিমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তাকে হাজির করে হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই বারিউল ইসলাম ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফাহিমসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন সদর থানার এসআই আইয়ুব আলী।

তিনি জানান, ঘটনার সময় আটক ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া আরও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। তারা হলেন- সালমান তাসকিন, শাহরিয়ার হাসান, জাহিন, রায়হান ও মেজবাহ।

সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ জানান, গ্রেফতার ফাহিমের কাছ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয় জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী কলেজগেট সংলগ্ন ভাড়া বাসার একটি ছোট কক্ষে একা থাকতেন।

গত বুধবার দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে বাসায় ঢোকার সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ৩ যুবক তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

শিক্ষকের চিৎকারে কলেজগেট এলাকার লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে ফাহিমকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত