৩১ আগস্ট, ২০১৬ ১১:৩৫
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না সে বিষয়ে ভাবতে সময় চেয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে।
রিভিউ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাশিমপুর কারাগারের ভেতর তাকে পড়ে শোনানো হয়েছে। এ সময় প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ভাবার জন্য কিছু সময় চেয়েছেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রাতে বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে তার রিভিউ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ও ফাঁসি কার্যকরের অবহিতকরণ পত্র পাঠানো হয় কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
সেখান থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে কাশিমপুর কারাগারে এসে পৌঁছায়। রাত বেশি হওয়ায় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রিভিউ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় তাকে পড়ে শোনানো হয়েছে। মীর কাসেম আলী এ কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন।
উল্লেখ্য, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে হত্যা, লুণ্ঠন, অপহরণ ও নির্যাতনের দায়ে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর একাত্তরের বদর নেতা মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ৮ মার্চ মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।
এরপর রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে চূড়ান্ত আবেদন করে আসামীপক্ষ। সেই রায়ও বিপক্ষে যাওয়ায় এখন ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হবে মীর কাসেম। যার নৃশংসতার কথা বলতে গিয়ে আদালত বলেছেন কাসেম একাত্তরের বাঙালী খান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আপনার মন্তব্য