সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ আগস্ট, ২০১৬ ১৯:২৪

কৃষিজমি ও বনভূমিতে চিংড়ি চাষ অবৈধ

দেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় কৃষি জমি ও বনভূমিতে জোরপূর্বক লোনা পানি প্রবেশ করিয়ে চিংড়ি চাষ করাকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ ৩১ আগস্ট বুধবার হাইকোর্টে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
 
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মিনহাজুল হক চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।

এ বিষয়ে আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আপিল আবেদন খারিজের মাধ্যমে হাইকোর্টে রায় বহাল থাকবে এবং দেশের কৃষিজমি ও বনভূমি রক্ষা পাবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা কৃষকদের সম্মতি না নিয়েই জোরপূর্বক কৃষিজমিতে লোনা পানি প্রবেশ করে চিংড়ি চাষ করে। এতে করে চাষাবাদ করা যায় না এবং দিনে দিনে কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর এ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি’ ও ‘নিজেরা করি’র সংগঠন রিট দায়ের করে।

রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১০ সালে ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে দেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় কৃষিজমি ও বনভূমিতে জোরপূর্বক লোনা পানি প্রবেশ করিয়ে চিংড়ি চাষ করাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
 
পরে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি শেষে আজ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এতে করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত