সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ আগস্ট, ২০১৬ ২২:৪০

প্রাণ ভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে বৃহস্পতিবারও

কারা মহা-পরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন কিনা এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারও (০১ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর কাছে জানতে চাওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবে কিছু যৌক্তিক সময় তাকে দিতে হবে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি বিচার হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাণ ভিক্ষার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা নেই। সাধারণ বন্দিদের ক্ষেত্রে বা অন্যরা রায়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাতদিনের সময় পেয়ে থাকেন। আমরা ধরে নিতে পারি সেই হিসেবে কমপক্ষে সাতদিনের সময় দেওয়া যেতে পারে। আশা করি এর আগেই মীর কাসেম আলীর মতামত পেয়ে যাবো।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যরিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম নিখোঁজ কিনা এটি কারাগারের বাইরের বিষয়। আমরা কারাগারের ভেতরের খবর বলতে পারবো। কাশিমপুর কারাগার সম্পূর্ণ নিরাপদ।

এ সময় তিনি আরো জানান, প্রাণ ভিক্ষা না চাইলে অথবা তা নাকচ হলে মীর কাসেম আলীকে কোথায় এবং কবে ফাঁসি দেওয়া হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের লক্ষ্যে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে কারা সূত্র। চূড়ান্ত নির্দেশনা পাওয়া মাত্র ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।

তিন জল্লাদ দীন ইসলাম, শাহজাহান ও শাহীন আগে থেকেই আছেন কেন্দ্রীয় কারাগার কাশিমপুর -২এ। তাদের সঙ্গে আরো দুই জল্লাদ যোগ দেবেন বলেও জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এর আগে  সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফাঁসি বহাল রেখে রিভিউ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় কাশিমপুর কারাগারের ভেতর পড়ে শোনানো হয় মীর কাসেম আলীকে। এ সময় প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি ভাবার জন্য কিছু সময় চান।

এরপর মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে দুপুরে কারাগারে যান তার পরিবারের সদস্যরা। রাষ্ট্রপতির কাছে মীর কাসেমের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিতে এ সাক্ষাৎ করেন তারা 

উল্লেখ্য,একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে হত্যা, লুণ্ঠন, অপহরণ ও নির্যাতনের দায়ে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর একাত্তরের বদর নেতা মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ৮ মার্চ মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

এরপর রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে চূড়ান্ত আবেদন করে আসামীপক্ষ। সেই রায়ও বিপক্ষে যাওয়ায় এখন ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হবে মীর কাসেম। যার নৃশংসতার কথা বলতে গিয়ে আদালত বলেছেন কাসেম একাত্তরের বাঙালী খান।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত