সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:৪৩

টুটুল হত্যাচেষ্টা : ৬ দিনের রিমান্ডে সবুর

শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টার অন্যতম ‘হোতা’ আবদুস সবুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন ফারুকী আসামিকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল শনিবার রাতে টঙ্গীর রেলস্টেশন এলাকা থেকে সবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, তিনি সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সামাদ নামেও পরিচিত।

গ্রেপ্তারের পর আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কাউন্টার অ্যান্ড টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, সবুর আনসার আল ইসলামের (এবিটি) সামরিক শাখার শীর্ষ চারজনের একজন। এ ছাড়া টুটুলের ওপর হামলার ক্ষেত্রে একাই অনেকগুলো দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

মনিরুল দাবি করেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবুর স্বীকার করেছেন, তিনি শুদ্ধস্বরের স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল হত্যাচেষ্টায় জড়িত এবিটি সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। হামলার ছক তৈরির দায়িত্বও ছিল তাঁর ওপর। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে রেকি করা এবং ঘটনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন সবুর।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, সবুর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে এবিটির বোমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বোমা বানানো শেখেন। বাড্ডার সাঁতারকুলে এবিটির একটি আস্তানার প্রশিক্ষকের দায়িত্বেও ছিলেন। সবুর সদস্যদের মগজ ধোলাই করতেন। তিনি সদস্যদের ধারণা দিতেন, হত্যা করা কোনো অপরাধ নয়, হত্যা করলে কোনো অপরাধ হবে না।  

এর আগে গত ২৩ আগস্ট রাতে দীপন হত্যার ঘটনায় পুরস্কারঘোষিত জঙ্গি শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সমীর ওরফে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তাঁকেও টঙ্গীর চেরাগ আলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে এর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

দীপন হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা লালমাটিয়ায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক-ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিমকে আহত করে। এ দুটি প্রকাশনী থেকেই প্রয়াত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ব্লগার ও প্রকাশকদের হত্যার দায় স্বীকার করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত