সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ২১:৫৩

৭ জানুয়ারি ‘ফেলানী দিবস’ পালনের দাবি

প্রতি বছরের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীকে ফেলানী দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ প্রতিবাদের প্রতীক। এই ছবি শুধু ফেলানীর লাশের ছবি নয়, এই ছবি কাঁটাতারে বিদ্ধ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। এই ছবি বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিকদের ভারত তোষণনীতির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার।

শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় নেতৃদ্বয় কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ি সীমান্তে বিনা উস্কানিতে বিএসএফ কর্তৃক বাবার সামনে কন্যাকে শিশু ফেলানীকে হত্যা-সহ সারা বছর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ‘র নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই ঘটনা ভারতের আগ্রাসী চরিত্র ও সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিচয় বহন করে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ফেলানী হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের বর্বরতার চিত্র ফুটে উঠেছে। বিএসএফ আন্তর্জাতিক রীতিনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সীমান্তে নির্বিচারে নিরীহ বাংলাদেশী  নাগরিকদের হত্যা, খুন, গুম, অপহরণ নির্যাতন, নিপীড়ন চালাচ্ছে।

তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সরকার দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। সীমান্তে বাংলাদেশী জনগণ স্বাধীন ভূখণ্ডে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা ও কৃষি কাজ করতে পারছে না। ৭জানুয়ারী ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটা তারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও ভারত প্রীতির  কারণে সীমান্ত আগ্রাসন ও ফেলানী সহ সীমান্ত কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না।

এদিকে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে ফেলানী হত্যার ঘটনায় ৭ জানুয়ারিকে ‘ফেলানী দিবস’ পালনের দাবি জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ। শুক্রবার রাজধানীর তোপখানা রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন। তিনি বলেন, বাবা নুরুল ইসলামের সামনে বিনা কারণে গুলি করে হত্যা করা হয় ফেলানীকে। গুলিতে আহত ফেলানী সীমান্তের কাঁটাতারের সঙ্গে আটকে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। নিষ্ঠুর বিএসএফ তাকে একগ্লাস পানিও দেয়নি। পানি না পেয়ে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে তার নিথর দেহ সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলতে থাকে।

এরপর বিএসএফ তাদের আদালতে বিচারের নামে প্রহসন করে খুনি অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। বাংলাদেশ বিচার পায়নি। আপিল হয় ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টে। এখনও বিচার সম্পন্ন হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ফাঁসি, ফেলানীর পরিবারকে কমপক্ষে বিশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, সীমান্ত হত্যা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বন্ধ, কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তের নাম ফেলানী সীমান্ত, ঢাকার গুলশান-১ থেকে তেজগাঁও রাস্তার নামকরণ ফেলানী সরণি, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ৭ জানুয়ারি সীমান্ত হত্যা বিরোধী ফেলানী দিবস পালনের দাবি জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত