শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক বলেছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কোনো গার্মেন্টস কর্মী মারা গেলে শ্রম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এই অর্থের একটি অংশ আসবে বিভিন্ন কোম্পানির রপ্তানি আয় (শতকরা তিন পয়সা) থেকে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের একটি হোটেলে বিভাগীয় কমিশন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় পর্যায়ে শিশুশ্রম নিরসনে উদ্ভুদ্ধকরণ বিষয়ে কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করা হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে শিশুশ্রম বন্ধ হবে। এ বিষয়ে আমরা নানাভাবে জনসচেতনতা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, যে সকল এলাকায় শিশুশ্রম বেশি, সেসব এলাকা টার্গেট করে নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। এ জন্য সরকার টেকনিক্যাল শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তার মতো প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের ৬০ হাজার শিশুকে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। বর্তমান সরকার গৃহপরিচারিকাদের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে, যারা গৃহপরিচারিকা নিয়োগ দেন, তারা যেন এই নীতিমালা অনুসরণ করেন।

তিনি জানান, দরিদ্র শ্রমিকদের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ৩ লাখ টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হবে।

এ সময় ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।