সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৯:২৩

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সরকারদলীয় এমপির মানহানি মামলা

প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ও ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী। ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মশিউর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্য আসমিরা হলেন, পত্রিকাটির প্রতিবেদক মামুনুর রশিদসহ অজ্ঞাত আরও তিনজন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গত ২৩ জানুয়ারি ‘দেশে ড্রাগ ডিলারদের গ্রেপ্তারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষায় পুলিশ’ শিরোনামে অবজারভার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

“ওই সংবাদে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান, ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারী, রাজশাহীর এনামুল হক দেশে ড্রাগ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারী বলা হয়েছে।”

এই সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাদীর ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি সংসদে ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সমালোচনা করেছেন নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও রাজশাহীর এনামুল হক।

গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে শামীম ওসমান অভিযোগ করে বলেছিলেন, “দলের লোক, সুযোগ-সুবিধা নেন। উপদেষ্টা হলেন তার পত্রিকায় বলা হল- এমপিরা ড্রাগ ডিলার।

“১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানকে যখন নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দেইনি, এই লোক তখন কোথায় ছিলেন। এই ভদ্রলোক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে সই করেছিলেন। জামাতের প্রকাশিত বইয়ে লেখা আছে। কে এই লোক, আমাদের মধ্যে ঘেরাফেরা করে? ভদ্রলোক আমাদের কৃপায় টিকে আছেন। ইকবাল সোবহান চৌধুরী।”

এর পরের দিন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বের পর সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৬৬ ধারা অনুযায়ী বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ উত্থাপন করেন রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামূল হক। ‘দেশে ড্রাগ ডিলারদের গ্রেপ্তারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষায় পুলিশ’ শিরোনামে অবজারভারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মান ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে এনামুল হক বলেন, “সংসদ সদস্যদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। মিথ্যা বানোয়াট খবর দিয়ে আমাদের বিতর্কিত করছে।

“এতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে। আমরা কোনো সংসদ সদস্যই প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন করতে চাই না। আমাদের কারণে যদি তার সম্মানহানি হয় তাহলে আমরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করে চলে যাব।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত