সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মে, ২০১৭ ০১:৪০

রিমান্ডের কথা শুনেই কেঁদে ওঠেন শাফাত ও সাদমান

রাজধানীর বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ এবং রেগনাম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ রিমান্ডের কথা শুনে হু-হু করে কেঁদে উঠেন। এ সময় তাদের আইনজীবীরা সান্ত্বনা দেন। এক পর্যায়ে তারা পিপাসায় কাতর হয়ে উঠলে পানি এনে দেয়া হয়। পানিপানে তারা কিছুটা শান্ত হন।

আদালতে তোলার সময় দুজনই ছিলেন অনেকটা নির্লিপ্ত। তাদের ভাব-ভঙ্গিতে ছিল না অনুতপ্তের কোনো ছাপ। আদালতে প্রবেশের সময় তাদেরকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। তবে রিমান্ডের কথা শোনা মাত্রই কেঁদে ওঠেন দুজন।

আদালতে তোলার সময় তাদের হ্যান্ডকাপ পরানো ছিল না; মোটা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। এ সময় উৎসুক জনতা তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় অনেকে তাদেরকে ভর্ৎসনা করেন। বড়লোকের বকে যাওয়া ছেলেদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন তারা।  

শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয় এই দুই আসামিকে। আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। এর বিপরীতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের জামিন আবেদন করেন। সাদমানের আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদার আদালতে বলেন, ‘ঘটনার সাথে শাফাত ও সাদমান সরাসরি জড়িত ছিলেন না। এটা এজহারে উল্লেখ রয়েছে। এরপরও তাদেরকে এই মামলার সাথে জড়ানো হয়েছে।’

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই ঘটনার মূল হোতা শাফাত ও সাদমান। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ঘটনার বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে।

দুই পক্ষের শুনানির পর ঢাকার মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম সাফাতকে ছয় দিন ও সাদমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকার দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বলে ৬ মে তাদের একজন বনানী থানায় মামলা করেছেন। এই মামলার প্রধান আসামি সাফাত। সাদমান ছাড়াও আসামিদের মধ্যে আছেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ ইমেকার্স এর প্রধান নাঈম আশরাফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল এবং দেহরক্ষী আবুল কালাম আযাদ।

বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার হন সাফাত ও সাদমান। রাতেই তাদেরকে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। ভোরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাদেরকে নিয়ে আসা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবে তারা অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত