নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ মে, ২০১৭ ০১:২৭

মধুর আমার মায়ের হাসি

ছবি : মারূফ অমিত

আজ মে মাসের দ্বিতীয় রোববার; ‘বিশ্ব মা দিবস’। প্রতি বছরের মতো এবারো মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে বিশ্বব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সন্তানের কাছে সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে তার মা।

বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। শতাব্দীর শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন।

তার সে ভাবনা বাস্তবায়নের আগে ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন।

১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারী ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়। এরপর পৃথিবীর দেশে দেশে মা দিবসটি পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে।

সেই বিবেচনায় বাংলাদেশে এ দিবসটি ঘটা করে পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। যদিও মাকে সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালবাসা দেখাতে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করে নেয়ার যুক্তি অনেকের কাছেই সেভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে অনেকেই মনে করেন মাকে সম্মান দেখাতে, তাকে গভীরভাবে স্মরণ করতে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত বিশ্ব মা দিবসের গুরুত্ব রয়েছে।

এ দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত