সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ মে, ২০১৭ ১৫:২৭

রেইনট্রি হোটেলে গোয়েন্দা অভিযানে মদ উদ্ধার, মামলার সিদ্ধান্ত

রাজধানী বনানীর রেইনট্রি হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে মদ উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দাদের একটি দল।এছাড়াও জব্দ করা হয়েছে বিয়ার ও ওয়াকিটকি। এসবের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৪ মে) পৌনে ২টায় অভিযান শুরু করে এখন পর্যন্ত ১০ বোতল মদ জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিউর রহমান

তিনি জানান, আমরা হোটেলের বেশ কিছু অনিয়ম দেখতে পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে দেখব। বিদেশি মদের যেসব বোতল জব্দ করা হয়েছে, সেগুলোর কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি হোটেল কর্তৃপক্ষ। এসব স্মাগলিং বলেই প্রমাণিত। এগুলো কারা সরবরাহ করেছে তা খুঁজে বের করা হবে।

শফিউর রহমান বলেন, মাদক যেহেতু পাওয়া গিয়েছে, তাই মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর বিষয়টি বিবেচনা করে অবশ্যই মামলা করবে।

তিনি আরও বলেন, হোটেল ব্যবসা শুরু করার ১৫ দিন আগে থেকে ভ্যাট দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এই হোটেল কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। যা ভ্যাট আইনের লঙ্ঘন। শুল্ক, ভ্যাট ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে।

এর আগে গতকাল শনিবার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ওই হোটেলে অভিযান চালায়। কিন্তু তারা সেখান থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি। ওইদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি তদন্ত টিমও ওই হোটেল পরিদর্শন করে।

এর পর দ্য রেইনট্রি হোটেলের এক্সিকিউটিভ ইন্টারনাল অপারেশন অফিসার ফারজান আরা রিমি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এই হোটেলে মদ জাতীয় কোন কিছু বিক্রি বা খাওয়া হয়না। শুধু জুস পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর 'দি রেইনট্রি' নামক একটি হোটেলে পূর্ব পরিচিত শাফাত আহমেদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাতভর ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ওই ঘটনায় গত শনিবার আপন জুয়েলার্সের অন্যতম কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসামি শাফাত ও সাকিফকে। তারা বর্তমানে পুলিশ রিমাণ্ডে আছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত