সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ জুন, ২০১৭ ১৭:৩২

মওদুদের বিচার শুরু, সাক্ষ্য গ্রহণ ২৬ জুলাই

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করে আগামী ২৬ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে।

বুধবার (২১ জুন) ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েস বিএনপির এ নেতার অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।

মওদুদ আহমদ নিজেই তার পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন।

২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী গুলশান থানায় মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৫ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে এ মামলা বাতিলের জন্য মওদুদ আহমদ উচ্চ আদালতে আবেদন করায় দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতে বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিল।

মামলার চার্জশিট অনুযায়ী আসামির বিরুদ্ধে চার কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও নয় কোটি চার লাখ ৩৭ হাজার ২৩৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের তদন্ত অনুযায়ী মওদুদ আহমদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে নয় কোটি চার লাখ ৩৭ হাজার ২৩৩ টাকার সম্পদের সঙ্গে তার বৈধ আয়ের কোনো সঙ্গতি নেই। এই সম্পদ অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত। এছাড়া দুদকে দাখিল করা সম্পদের হিসাবে তিনি চার কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। দুদকের নোটিশের জবাবে তিনি প্রায় ১৩ কোটি টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছিলেন।

মওদুদ আহমদের সম্পদের মধ্যে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় ৮০ লাখ টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় নিজের স্বাক্ষরে ১৯টি বেনামে অ্যাকাউন্টে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় আটটি যৌথ হিসাবে ৬৬ লাখ টাকার এফডিআর আছে। এছাড়া স্টান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক ও আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের নওয়াবপুর শাখাতে তার নামে অর্থ জমা আছে। তার নামে আমেরিকা ও লন্ডনে দুটি বাড়ি আছে। ২০০০ সালের আগে-পরে তিনি এই বাড়ি দুটি নিজের নামে কিনলেও পরবর্তী সময়ে মেয়ের নামে দিয়ে দেন। বাড়ি দুটির মূল্য এক লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা। টাস্কফোর্স ও দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মওদুদ এই বাড়ির কথা স্বীকার করেন। গুলশান ২ নম্বরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ২৬শ ও তিন হাজার বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট, ১০ কাঠা জমিতে পাঁচ তলা বাড়ি (৮০ দশকে কেনা) আছে। গ্রামের বাড়িতে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি বিশাল বাংলো আছে। সাভারে ইপিজেডের উল্টোদিকে তিন একর ও টঙ্গীর পাগারে এক একর জমি আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত