১৯ জুলাই, ২০১৭ ১৫:৩৫
ফাইল ছবি
গুলশান হামলায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নব্য জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা সোহেল মাহফুজ জিজ্ঞাসাবাদে ‘অনেক তথ্য দিয়েছে’ জানিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, শিগগিরই তারা আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেবেন। একই সঙ্গে তিনি সোহেল মাহফুজকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে যে তথ্য বেরিয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছেন।
সোহেল মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারতের এনআইএ-র একটি দল আসার খবর এসেছে কিছু গণমাধ্যমে। তবে তেমন কোন দল এখনও বাংলাদেশে আসেনি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্ধমানে একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় যদি অন্য কোন সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তাতে আদালতের অনুমতি লাগবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ নেই। আমার জানামতে এনআইএ-র কোনো প্রতিনিধি আসেনি বা জিজ্ঞাসাবাদও করেনি।”
আদালতের অনুমতি ছাড়া রিমান্ডে থাকা কোনো আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না, বলেন ডিএমপি কমিশনার।
বুধবার (১৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশের জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দেওয়া দুটি গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের কার্যালয়ে গুলশান হামলার তদন্ত নিয়ে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
হলি আর্টিজানের মামলার অগ্রগতি বিষয়ে বলেন, আমাদের কাছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছিল না এতদিন। ফরেনসিক রিপোর্ট ছিল না। আমরা সম্প্রতি ফরেনসিক রিপোর্ট পেয়েছি। এখন মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে কূটনীতিক পাড়া গুলিশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। ওই ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, হত্যাকাণ্ড ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তিনটি মামলা করে পুলিশ।
গত ৮ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোহেল মাহফুজকে গ্রেপ্তারের পর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলেন, সোহেলই গুলশান হামলার গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন।
পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সোহেল মাহফুজকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুলশান হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা ও দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
“পূর্বেও আমি বলেছি, আজকেও বলি, দ্রুতই আমরা এই হলি আর্টিজান যে হত্যাকাণ্ড, সেটির চার্জশিট বিজ্ঞ আদালতে দিয়ে দিব প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে।”
আপনার মন্তব্য