সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০১৭ ১৪:৪৪

রূপা ধর্ষণ ও হত্যার বিচার শুরু

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে রূপা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়েছে। মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ এবং টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল হাসান এ আদেশ দেন। আগামী ৩ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯)।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের রূপা ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।

গত ২৫ অগাস্ট রাতে ‘ছোঁয়া পরিবহনের’ একটি বাসে করে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে আসামিরা রূপাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে তার ‘ঘাড় মটকে’ হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে লাশ ফেলে যায় তারা।

সেদিন রাতে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।কিন্তু পরিচয় না মেলায় ময়নাতদন্ত শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়। পরে গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার।

এ ঘটনায় রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ছোঁয়া পরিবহনের পাঁচ শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত