সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৮:৩৬

নারায়ণগঞ্জের মেয়র আইভীর ওপর হামলা

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর হামলা হয়েছে। মেয়র এই হামলার জন্যে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ শামীম ওসমানকে দায়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মেয়র আইভী অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ‘হকার মুক্ত ফুটপাথ চাই’ স্লোগান ধরে লোকজন নিয়ে চাষাড়ার দিকে হেঁটে আসছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ সময় শামীম প্লাজা থেকে আইভীর লোকজনের ওপর বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পিস্তল উচিয়ে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে সড়কে পড়ে যান সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার পায়ে ইটের আঘাত লেগেছে। সেখান থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল চাষাড়ায় পুলিশ থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকেরা পুলিশের কাছে জানতে চান, তারা কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। পুলিশ জানায় অর্ডার নেই। তবে পাঁচটার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে।

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আইভী বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে আসছিলাম। চাষাড়ার রাইফেলস ক্লাবে বসে শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানো নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে তার লোকজন ইট পাটকেল ছোড়ে। এটা নিরস্ত্র লোকের সশস্ত্র হামলা। এ হামলায় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশের নীরব ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের মাঝখানে থেকে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। জানমালের নিরাপত্তার দিতে চেষ্টা করেছি।

মেয়র আইভী অভিযোগ করেছেন শামীম ওসমানের প্রতি আপনারা সহানুভূতিশীল ছিলেন—এর জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত