দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার স্থলাভিষিক্ত হলেন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার পর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়ান। বঙ্গভবনের দরবার হলে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য, সাবেক প্রধান বিচারপতি, উচ্চ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ সরকারের পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শুক্রবার নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের আদেশে সই করেন।

এর পরপরই পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারক মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিএনপি সরকার আমলে ২০০৩ সালে হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারক হন। ২০১১ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারক পদে উন্নীত হন।

বিচারক হিসেবে কাজ শুরুর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করেছিলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তার চাকরি আছে আরও তিন বছর।

বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার পদত্যাগের পর আপিল বিভাগে এখন বিচারক হিসেবে বিচারপতি মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে আছেন বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এলএলবি ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮১ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। তার দুই বছর পর ওকালতি শুরু করেন হাই কোর্টে।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি গঠিত দুটি সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

গত ৩১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার অবসরে যাওয়ার তারিখ ছিল, এরআগে তিনি ছুটিতে দেশের বাইরে যান, এবং ওখান থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে হাই কোর্টের রায় বহাল রাখার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রবল বিরোধিতায় পড়েন।