২২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১২:৩৬
এর আগে কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে বিশেষ প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে আড়িপাতার অনুমতি দেওয়া ছিল। এবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)ও সে সুযোগ পাচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সংস্থাটিকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল ট্রেকিং সংক্রান্ত অনুমোদন পেয়েছে দুদক।
এই অনুমোদনের ফলে এখন থেকে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজের গতিবিধি অনুসরণ, তাদের কথোপকথন রেকর্ড, চলাফেরা ও পলাতক আসামির অবস্থান শনাক্তে দুদক এই সুবিধা ব্যবহার করবে।
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সহায়তায় পুরো কাজটি পরিচালনা করবে দুদক। এর দায়িত্বে থাকছে বিশেষভাবে দক্ষ একটি টিম। এই টিমের সদস্যরা সন্দেহভাজন বা দুদকের তালিকাভুক্ত ব্যক্তির গতিবিধি অনুসরণসহ তাদের ওপর নজরদারি করবে। তাদের সবকিছু (কথা, গতিবিধি, অবস্থান ইত্যাদি) ট্রেকিং করে সার্ভারে ধারণ করে রাখবে। দুদকের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে প্রযুক্তিনির্ভর এ কাজটি দুদক শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা এ ধরনের একটা উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ট্রেকিংয়ের বিষয়টি এককভাবে নিজের হাতে রাখার যৌক্তিকতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারও কথা বলার স্বাধীনতা যেন খর্ব না হয় সেটা আমি নিজে নিশ্চিত করতে চাই। তবে যাদের বিষয়ে দুর্নীতির অর্ভিযোগ আছে তারা এর আওতায় পড়বেন।
তিনি জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের দুর্নীতির বিষয়ে জনশ্রুতি আছে, সবাই যাদের দুর্নীতির বিষয়ে জানে তাদের বিষয়ে গোপনে আমরা তথ্য সংগ্রহ করব।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটি মোবাইল ট্রেকিংয়ের বিষয়ে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। কিভাবে কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে তারও ধারণা নিয়েছে।
আপনার মন্তব্য