সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ মার্চ, ২০১৮ ১৫:৪৫

সোমবার ফিরছে ১৭ বাংলাদেশির মরদেহ

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তে নিহত যে ১৭ বাংলাদেশির মরদেহ সনাক্ত করা গেছে তাদের মরদেহ আগামীকাল দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ইউএস বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আফিফ।

রোববার (১৮ মার্চ) নেপালে টিচিং হাসপাতালের মর্গের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ইমরান আফিফ বলেন, রোববার বিকেল ৪টায় মরদেহের গোসল হবে, কফিনে ঢুকানো হবে। সকাল ৬টায় (মঙ্গলবার) মরদেহ নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে সকালে নিহতদের স্বজন ও ডাক্তাররা ঢাকায় রওনা হবেন। পরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানে মরদেহগুলো দেশে পাঠানো হবে।

শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হলো- বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

এদিকে নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ মেডিকেল টিমের প্রতিনিধি দলের সদস্য ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় আরো ছয়জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে কোনো বাংলাদেশি রয়েছেন কি-না বা থাকলেও কতোজন সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত শনাক্তকৃত ১৭ বাংলাদেশির মরদেহই স্বজনরা দেখেছেন। আরো চার বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্তকরণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাকি পাঁচজনের ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে এখান থেকে সেম্পল দেশে নিয়ে যাওয়া হবে। দেশের স্বজনদের সেম্পলও নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ম্যাচ করলেই আমরা পাঁচজনকে সনাক্ত করতে পারবো। যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছেন না, তাদের সবার মরদেহই নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিমানটিতে ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত