সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ এপ্রিল, ২০১৮ ১৫:৩৭

একাদশে ভর্তি শতভাগ মেধায়, অতিরিক্ত হিসেবে কোটায়

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুসারে, এবার শতভাগ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর অগ্রাধিকার কোটায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।

মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি শতভাগ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। সেই সাথে মেধা তালিকায় নির্বাচিত হওয়ার পরও কারও ভর্তি নিশ্চিত না করলে আবার আবেদন করতে পারবে।

গত বছর ৮৯ ভাগ মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি ১১ ভাগ কোটায় ভর্তি করা হয়।

এবছর অতিরিক্ত হিসেবে বিশেষ কোটায় মুক্তিযোদ্ধা-৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর-৩ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধঃস্তন দফতরগুলো ২ শতাংশ, বিকেএসপি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং প্রবাসী শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ভর্তি করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলা ভার্সনে ৯ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে ১০ হাজার টাকা ভর্তির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি তিন হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে দুই হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, গতবারের মতো এবারও অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদ্রাসায় আবেদন করা যাবে। এর জন্য নেওয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনও শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। প্রতিবারের মতো এবারও ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বুয়েট।

একাদশ শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ১৩ মে। চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। ২৭ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। পহেলা জুলাই থেকে ক্লাস শুরু করতে হবে।

যদি কেউ ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘন করে তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদান অনুমতি বা এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।

লাগাতার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্য দিয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের তত্ত্বীয় বিষয়গুলোর লিখিত পরীক্ষা। এবং ৪ মার্চ শেষ হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হবে ৬ মে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত