সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ জুলাই, ২০১৮ ১৯:২০

কারও সমালোচনার ধার ধারি না: বেনজির

মাদকবিরোধি অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধের সমালোচনার জবাবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন, আমরা যখন ৩ মে থেকে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি সে সময় অনেকেই সমালোচনা করেছেন। এখন তারা চুপ হয়ে গেছেন। আমরা স্পষ্ট কথায় বলে দিচ্ছি কারও কোনো সমালোচনায় আমরা ধার ধারি না।’

রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়ন শীর্ষক কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেন বেনজির আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘এদেশে জঙ্গিরা যতবারই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ততবারই আমরা তা ধ্বংস করে দিয়েছি। আমরা তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি তাতে বিজয়ী না হয়ে ফিরব না।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই মাদকের বিস্তার রয়েছে। তাই বলে সেটি জাতিকে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এটা সহ্য করা হবে না। সব দেশেই মাদক সহনশীল অবস্থায় থাকলে আমাদের দেশেও তা সম্ভব। আর সে জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

র‌্যাবের এ মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘দেশে প্রতিদিন যদি ৬০ লাখ লোক ইয়াবা সেবন করে তাহলে প্রতিদিন একশ ৮০ কোটি টাকা এবং মাসে ৬ হাজার ও বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে এ ইয়াবার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের ইয়াবা নিয়ে গত দশ বছরে সংবাদপত্রে কোনো খবর প্রকাশ করেনি। খোঁজ নিয়ে জানলাম বিভিন্ন গডফাদারদের ভয়ে সংবাদ করা হয়নি। কক্সবাজারে আমরা প্রথমে ১টা ক্যাম্প এবং রোহিঙ্গা আসার পর আরও একটা ক্যাম্প স্থাপন করেছি। সম্প্রতি মাদকের গডফাদারদের নির্মূল করতে আমরা মোট সাতটি ক্যাম্প স্থাপন করেছি। এখন যদি কোনো গডফাদার কাউকে হাত উঁচু করে ভয় দেখায়, তাহলে স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি সেই হাত কেটে ফেলব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমি এ কথার বিশ্বাস স্থাপন করব।

কক্সবাজারে র‌্যাবের নিয়মিত অভিযানের কারণে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে এলেও বর্তমানে সেই ব্যবসা সিলেটের পথে হচ্ছে বলে জানান তিনি। আর এ জন্য ভারতের ত্রিপুরা, আসাম রাজ্য থেকে সিলেট বর্ডার হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বিজিবি মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, পুলিশের অপরাধ বিভাগের ডিআইজি ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন, কর্নেল (অব.) আনিসুর রহমান, আনসার ভিডিপির উপ-পরিচালক দিলীপ কুমার বিশ্বাস, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুর রহমান, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতরের সদস্য অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত