০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১০:৩৯
ইয়াঙ্গুনের কাছে সমুদ্রসৈকতে আটকা পড়া একটি জাহাজ নিয়ে আলোচনার অবসান হয়েছে। একটি টাগবোট সেটি বাংলাদেশে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।
মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানীর উপকূলের কাছে গত সপ্তাহে জেলেরা ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’নামের জাহাজটির সন্ধান পায় বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
জাহাজটি কী করে মিয়ানমারের জলসীমায় এল, এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা গত কয়েকদিন ধরে সেসব খতিয়ে দেখছিল দেশটির পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার নৌ বাহিনী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সমুদ্রসৈকতে আটকে পড়া ওই জাহাজটির ভেতর অনুসন্ধান চালায়।
সেসময় ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটিতে কোনো নাবিক বা পণ্য ছিল না বলে ফেসবুকে জানিয়েছিল ইয়াঙ্গুন পুলিশ।
শনিবার মিয়ানমার নৌবাহিনী জানায়, একটি টাগবোট ওই জাহাজটি বাংলাদেশের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি দড়ি ছিড়ে সমুদ্রে হারিয়ে যায়।
মিয়ানমারের জলসীমায় পরিত্যক্ত জাহাজ ভেসে আসার ঘটনা এটাই প্রথম।
বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচলের খবরাখবর দেওয়া মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’ নামের জাহাজটি ২০০১ সালে নির্মিত। কনটেইনার পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত এ জাহাজের দৈর্ঘ্য ১৭৭ মিটারেরও বেশি।
সেখানে জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান রেকর্ড করা হয় ২০০৯ সালে, তাইওয়ান উপকূলে। নয় বছর পর ইয়াঙ্গুনের কাছে এর খোঁজ মিলল।
অনুসন্ধানে জাহাজটির মাথায় দুইটি দড়ি বাঁধা থাকতে দেখে মিয়ানমার নৌ বাহিনীর প্রথম সন্দেহ হয়, হয়তো অন্য একটি জাহাজ এটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।
সে অনুযায়ী তল্লাশি শুরু করে মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ‘ইনডিপেনডেন্স’ নামে একটি টাগবোট খুঁজে পায় তারা।
ওই টাগবোটে থাকা ইন্দোনেশিয়ার ১৩ জন ক্রুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, তারা গত ১৩ অগাস্ট থেকে জাহাজটি টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা সেটিকে বাংলাদেশের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে নিতে চেয়েছিল।
কিন্তু ঝড়ের মধ্যে পড়ে দুই জাহাজে বাধা দড়ি ছিড়ে গেলে তারা সেটি পরিত্যাগের সীদ্ধান্ত নেয়।
টাগবোটটির মালিক মালয়েশিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছে।
আপনার মন্তব্য