সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ মার্চ, ২০১৯ ১৪:১৩

‘কাঁচাবাজারে আগুন নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না’

গুলশানে ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে আগুন নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে আগুন লাগার ঘটনা তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মার্কেটের কাঁচাবাজারের পূর্ব পাশের অংশে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভোরে রাস্তা ফাঁকা থাকায় এবং লোকজনের ভিড় না থাকায় দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক (অপারেশন) দিলীপ কুমার ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, কাঁচাবাজারটিতে আগুন নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র তিনটি ফায়ার স্টেশন একসঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে আসে। ভোরে রাস্তা ফাঁকা থাকায় এবং লোকজনের ভিড় কম থাকার কারণে আগুন দ্রুত নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখানে পানির স্বল্পতা ছিল। তাতে একটু সমস্যা হয়েছিল।

দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক (অর্থ) শামীম হাসানকে।

দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, এর আগে (২০১৭ সালে) যখন ভবনটিতে আগুন লেগেছিল (গুলশান শপিং সেন্টার), তখন ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছিল। ভবনটিতে আগুন নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আগুন নির্বাপণ ছাড়া মার্কেট চালাতে নিষেধ করা হয়েছিল তদন্ত কমিটির সুপারিশে। শনিবার কাঁচাবাজারের আগুন এ ভবনের তিনতলার দুটি দোকানে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ভবনটিতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দলকে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

ডিএনসিসি মার্কেটের একটি দোকানের মালিক শাহদাত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আগুন লাগার ঘটনাটি ভোরে ঘটেছিল বলে এখানে তেমন কেউ ছিল না। মার্কেটের পূর্ব পাশে হঠাৎ করে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। সেখানে সুগন্ধির দোকান রয়েছে। সেখান থেকে আগুন লাগে বলে তারা শুনেছেন।

সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সুগন্ধির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, কোত্থেকে আগুন লেগেছে, এখনই তা বলার সময় হয়নি। এটা তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। তবে যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে, সেটি মারাত্মকভাবে পুড়েছে। সেখানকার টিনগুলোও দুমড়েমুচড়ে গেছে।

ডিএনসিসির ওই মার্কেটে ১৫০টির বেশি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে পুরো কাঁচাবাজার এলাকার সব দোকান ভয়াবহভাবে পুড়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে মার্কেটটি চালু করা হয়। সেবার আগুনের ঘটনার পর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি মার্কেট কর্তৃপক্ষ—এমন অভিযোগ করেন আশপাশের লোকজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত